রিক্সাওয়ালার বউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে

কষ্টের মাজেও আনন্দে বেচে থাকা ও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মধ্যে ভালোবাসার ভালোবাসার

রিক্সা চালকের বউ এই এপ্সটিতে আপনি পাবেন সমাজের খেটেখাওয়া মানুষের শতো কষ্টের মাজেও আনন্দে বেচে থাকা ও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আন্তরিক ভালোবাসার গল্প,

তানিয়া টেবিলে পড়ছে।তানিম এখনো ঘুমে। হঠাৎ একটি পুরাতন ডায়রি দেখে তানিয়া।কৌতূহলী হয়ে পরিস্কার করে খোলে দেখে কিছু লেখা।মনোযোগ দিয়ে পড়তে শুরু করল।লেখা গুলো তানিমের।কিন্তু এত সুন্দর ভাষায় সে কিভাবে লিখল।অবস্থাদৃষ্টে মনে হল একটা চিঠি।চিঠির লেখা গুলো এমনই ছিল–

প্রিয়তমা

আশা করি মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে ভাল আছ।আমি শারিরীকভাবে ভাল আছি কিন্তু মানসিকভাবে যন্ত্রণায়।শৈশবে মাকে হারিয়েছি তাই মায়ের আদর যত্ন তেমন কপালে জোটেনি।নিষ্টুর এই পৃথিবীতে ভেবেছিলাম তুমিই সব চেয়ে বেশি আপন হবে।তাই হৃদয় রাজ্যের মুকুটহীন রাণী বানিয়েছি মনের অজান্তে।আকাশে যখন চাঁদ উঠে তখন পৃথিবী আলোকিত হয়। রাত হলে আমার অন্ধকার ঘরে একটি চন্দ্র উদিত হয় সেটা হলে তুমি।ঘণঘোর রজনী অন্ধকার কেটে যখন পূর্বদিগন্তে রক্তিম সূর্য উদিত হয় তখন সূর্যের কিরণে আলোকিত হয় পুরো পৃথিবী।আর আমি দেখতে পায় একটি হাসি মাখা মুখ।যে হাসিতে মুক্তা ঝরে।যার কথায় আছে ছন্দ আর ভঙ্গিমায় আছে জাদু।যার চাহনিতে আছে উপছে পড়া ভালবাসা।যার ভালবাসায় আমি বার বার সিগ্ধ হই।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ আমাকে এড়িয়ে চলতে চাইছো।প্রিয়তমা,আমার কি অপরাধ?? তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছো আর আমি রিক্সা চালাচ্ছি এটাই কি ব্যবধান?? তুমি শিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু মানুষ হচ্ছনা।আমি মাথার ঘাম পায়ে পেলে কঠিন রোদে পুড়ে রিক্সা চালিয়ে তোমার পড়ালেখার খরচ যোগান দিচ্ছি।এরপরও তুমি আমাকে এড়িয়ে চলছ?? বিশ্ববিদ্যালয়ে পড় বলে অনেকে propose করবে তাই বলে কি তুমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হবে??তোমার যদি নুন্যতম মনুষ্যত্ববোধ থাকত তাহলে পরকিয়ায় জড়ানোকে ঘৃণা করতে।পড়া লেখা করে শিক্ষিত হওয়া যায়না।পড়ালেখার সাথে সাথে মনুষ্যত্ববোধ না থাকলে তাকে মানুষ বলা যায়না।যে দিন তোমার এক সহপাঠী হাত ধরে টেনেছিল সেদিন চাইলে তাকে লাঞ্চিত করতে পারতাম কিন্তু করিনি তোমার সম্মানের কথা ভেবে।আমি উচ্চ শিক্ষিত না হতে পারি কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত কে কিভাবে সম্মান দিতে হয় তা আমার জানা আছে।আমি তোমার অসঙ্গতির জন্য কিছুই বলিনি।সংশোধনের সুযোগ দিয়েছি।এরপরও যদি সংশোধন হতে না পার তাহলে আমার কিছুই করার নেই।হে দরদী, তোমার জন্য বড্ড মায়া হয় তাই কিছুই বলিনা।একটু সংশোধন হও আমাকে ভালবাসতে শিখ।তোমার সকল প্রত্যাশা পূরণে আমি বদ্ধপরিকর।কিন্তু একটু বদলাও।

ইতি তোমার

রিক্সাওয়ালা

চিঠি পড়ে তানিয়া ব্যাকুল।নিরবে কাঁদছে।নিজের চোখের অশ্রু যেন নিজের অবাধ্য হয়ে গেছে আজ।মনে মনে বলছে,তানিম এত ভাল!! কান্না থামাতে পারছেনা।

# ছাব্বিশ ঃ

তানিমের কাছে গেল কিন্তু তানিম গভীর তন্দ্রাচ্ছন্ন। তানিমের পা ধরে বলছে, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।অশ্রুসজল নয়নে কি আকুতি।হঠাৎ তানিম জেগে দেখে তানিয়া তার পা ধরে কাঁদছে আর বলছে আমাকে ক্ষমা করে দিন।তানিয়ার হাত ধরে বলে এই সকাল সকাল পাগল হলে নাকি?? তানিয়া আরো জোরে জোরে কাঁদছে।তানিম বিরক্তির সূরে বলে, মাথা কি গেছে?? তানিয়ার কান্না থামবার নয়।অবশেষ হাত ধরে বলে,কি হয়েছে খুলে না বললে বুঝব কি করে?? তানিয়া তবুও কাঁদছে।তানিম বিছানা থেকে উঠে বসে।তানিয়ার চোখ দুটি লাল হয়ে গেছে।তানিমের বুঝতে বেগ পেতে হয়নি সে অনেক্ষণ ধরে কাঁদছে।বুকের কাছে টেনে বলে লক্ষী আমার কাঁদেনা।আপনার ডায়রির চিঠি খানা পড়ে নিজেকে ধরে রাখতে পারছিনা।আপনি এতটাই ধর্যশীল তা আগে জানতাম না।আপনি আমার অপরাধ জানা স্বর্থেও আমাকে কিছু বলেননি।আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।আজ থেকে শপথ করলাম জীবনে কোন পর পুরুষের সাথে কথা বলবনা।তানিমও কাঁদছে তানিয়ার এমন পরিবর্তন দেখে।তানিয়াকে বুকে চেপে ধরে, কেঁদে কেঁদে বলল এটাই চেয়েছিলাম আমি।আমি যে তোমাকে বড্ড ভালবাসি তাই তোমাকে আঘাত দিতে চাইনি।তানিম অনেক খুশি আজ।তাই গান ধরল–

এক বিন্দু ভালবাসা দাও

আমি এক সিন্ধু হৃদয় দেব।

তানিয়া কানটেনে বলে, ও আমার হৃদয় ছাড়ো এবার।ব্যাকফাস্ট রেডি করতে হবে।

The wife of the rickshaw driver, you will find the story of heartwarming love between your husband and wife,

Tania is lying on the table. Traditional sleeping still. Suddenly an old diary saw Tania. She started reading with ease. She started reading with ease. Likha taniim. Likha taniim. But how she wrote in such a beautiful language. It seems to be a letter. The writing of the letters was like this -

Dear