下載 APKPure App
可在安卓獲取আল্লাহর সৃষ্টিভাবনা - islam的歷史版本
她認為上帝的孩子,為創建這個程序。
এ পৃথিবীর সকল বস্ত্তরই একটা নাম ও নিদর্শন রয়েছে। উক্ত নাম ও নিদর্শনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্কও রয়েছে, যা তার পরিচয় বহন করে। প্রত্যেকের নিদর্শন দ্বারাই একে অপরকে চিনে, জানে ও বিশ্বাস করে। মানুষ ছাড়া যত প্রকারের চেনা-জানা প্রাণী বা গৃহপালিত ও বন্য পশু, হিংস্র-শান্ত জীব-জানোয়ার, কীট-পতঙ্গ রয়েছে, তাদেরকেও তাদের নিদর্শন দ্বারা চেনা সম্ভব। প্রাণীদের ন্যায় উদ্ভিদরাজির বিভিন্ন নিদর্শন তাদের নামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে কোন প্রকারের কার্পণ্য করে না। অনুরূপভাবে আসমান-যমীন, সূর্য-চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, তারকা, পাহাড়-পর্বত, সাগর-মহাসাগর, নদ-নদী, হরদ, সমভূমি, মরুভূমি, মালভূমি, বণ-জঙ্গল ইত্যাদিও তাদের নিজ নিজ নিদর্শন দ্বারা আত্মপ্রকাশ করে।
এতদ্ব্যতীত মানবজাতির বসবাসরত বড় বড় শহর-বন্দর, হাট-বাজার, গ্রাম-গঞ্জ ইত্যাদির বড় বড় অট্টালিকা, প্রাসাদ, টাওয়ার, ভবন, মাঝারি বাড়ি-ঘর, ছোট ছোট বসতি, সরকারী বেসরকারী স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, অফিস-আদালত, ডাকঘর, মসজিদ, মন্দির, খেলার মাঠ ইত্যাদিরও এক একটি পৃথক নিদর্শন আছে। আবার বিশ্বের দেশ বা রাষ্ট্রগুলো পৃথকভাবে নিজ নিজ ধন-সম্পদ, শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সমরশক্তি দ্বারা তাদের নিদর্শন প্রকাশ করে। সুতরাং নিদর্শনই হ’ল, যেকোন বস্ত্তর পরিচয় দানের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম।
অনুরূপভাবে মহান আল্লাহ তাঁর অস্তিত্ব, সবকিছু যে তাঁরই সৃষ্টি এবং সমগ্র সৃষ্টি যে তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে। এসব মানব মন্ডলীকে বুঝানোর জন্য অসংখ্য নিদর্শন পেশ করেছেন। এসবের মাধ্যমে তাঁকে জানা ও চেনা যায়। আল্লাহর এসব নিদর্শন জানা-শোনা, বোঝা ও বর্ণনার আগে তাঁর পরিচয় জানা দরকার। মহান আল্লাহ হ’লেন এক ও অদ্বিতীয় চিরঞ্জীব অসীম সত্তা। তিনি অসীম ও অনন্ত দৃশ্য ও অদৃশ্য জগতের বাদশাহ। নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী যাবতীয় বস্ত্তর তিনিই স্রষ্টা, তিনি মহাজ্ঞানী। তাঁর জ্ঞান, রাজত্ব, ক্ষমতা ও সৃষ্টির সীমা তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করেন। তিনি এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমাদের দৃষ্টির আড়ালে রয়েছেন। অতঃপর যথাসময়ে তিনি সকলের সম্মুখে আবির্ভূত হবেন এবং হিসাব নিবেন। তাঁর সত্তা বা অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা-শোনা, বোঝা ও বিশ্বাসের জন্য তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে অসংখ্য নিদর্শন স্থাপন করেছেন। এগুলোর কিয়দংশ আমাদের দৃষ্টিসীমা ও জ্ঞানসীমার অন্তর্ভুক্ত। অবশিষ্ট অধিকাংশই জ্ঞানের বাইরে অদৃশ্য জগতে বিদ্যমান।
আধুনিক বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় মহাশূন্যে এমন নক্ষত্র মন্ডলের অস্তিত্বও আমাদের জানা হয়ে গেছে- যেসব নক্ষত্র থেকে আমাদের পৃথিবীতে আলো আসতে শত শত কোটি বছর লেগে যাওয়ার কথা। আরও জানা যায়, পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ যে সূর্যের উপগ্রহ মাত্র- সেই সূর্যের মত শত সহস্র কোটি নক্ষত্র নিয়ে সে আলাদা একটা পরিপূর্ণ জগৎ রয়েছে, তাকে বলা হয় গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ। ঐ সুদূর প্রান্তের ছায়াপথের বিরাটত্বের তুলনায় আমাদের সৌরজগৎ একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিন্দু ছাড়া কিছুই নয়। ঐ ছায়াপথে যে সব নক্ষত্রের অবস্থান সে সবের পরিমন্ডল খুবই বৃহৎ। সেখানে দৃশ্যমান ছায়াপথের পুঞ্জিভূত নক্ষত্ররাজির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছতে সেই আলোর সময় লাগে প্রায় ৯০,০০০ (নববই হাজার) বছর।
আমরা যে গ্যালাক্সি বা ছায়াপথের অন্তর্ভুক্ত, সেই ছায়াপথে নক্ষত্রের সংখ্যা আনুমানিক দশ হাযার কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, এর অর্ধেক নক্ষত্র আমাদের সূর্যের মত এবং সূর্যের মতই তাদের বিভিন্ন গ্রহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, উপরোক্ত দশ হাযার কোটি নক্ষত্রের মধ্যে অন্তত ৫ হাযার কোটি নক্ষত্র আমাদের সূর্যের মতই ধীরে ধীরে আবর্তিত হচ্ছে। এর কারণ ঐসব নক্ষত্রের চারদিকে ঘিরে আছে বিভিন্ন গ্রহ। সেগুলো উপগ্রহের মতই স্ব স্ব কক্ষপথে আবর্তিত হচ্ছে। ঐসব নক্ষত্র আমাদের থেকে এতদূরে অবস্থিত যে, তাদের গ্রহসমূহের অবস্থান আমাদের পর্যবেক্ষণের বাইরে।
নিম্নে আল্লাহ তা‘আলার নিদর্শন সম্পর্কিত মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বহুসংখ্যক আয়াত হ’তে কয়েকটি উপস্থাপন করা হ’ল। আল্লাহ বলেন,
‘তোমাদের উপাস্য এক উপাস্য। তিনি ছাড়া মহা করুণাময় দয়ালু কেউ নেই। নিশ্চয়ই আসমান ও যমীনের সৃষ্টিতে রাত ও দিনের বিবর্তনে এবং নদীতে নৌকা সমূহের চলাচলে মানুষের জন্য কল্যাণ রয়েছে। আর আল্লাহ তা‘আলা আকাশ থেকে যে পানি নাযিল করেছেন, তার দ্বারা মৃত যমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সবরকম জীবজন্তু। আর আবহাওয়া পরিবর্তনে এবং মেঘমালায় যা তাঁরই হুকুমের অধীনে আসমান ও যমীনের মাঝে বিচরণ করে, নিশ্চয়ই সে সব বিষয়ের মাঝে নিদর্শন রয়েছে বুদ্ধিমান সম্প্রদায়ের জন্য’ (বাক্বারাহ ২/১৬৩-১৬৪)
Last updated on 2017年04月11日
Privacy policy added
আল্লাহর সৃষ্টিভাবনা - islam
5.0 by Bangla Apps&Games
2017年04月11日