下载 APKPure App
可在安卓获取বরিশাল জেলা的历史版本
Barisal Division, Barisal Division, is the historic importance of the rice-river-river
‘ধান- নদী -খাল এই তিনে বরিশাল' খ্যাত বরিশাল বিভাগের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তার কালে রাজা দনুজমর্দন কর্তৃক ‘চন্দ্রদ্বীপ' নামে এ স্বাধীন রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত এ অঞ্চল চন্দ্রদ্বীপ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করে। এ রাজ্য প্রতিষ্ঠার পূর্বে এ অঞ্চল ‘বাকলা' নামে পরিচিত ছিল। ‘বাকলা' অর্থ শস্য ব্যবসায়ী যা আরবী শব্দ থেকে আগত। জনৈক ড. কানুনগো নামীয় এক ব্যক্তি বাকলা বন্দর নির্মাণ করেন। এ সামুদ্রিক বন্দরে আরব ও পারস্যের বণিকরা বাণিজ্য করতে আসতেন। অতি প্রাচীন বৈদেশিক মানচিত্রে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ নাম বড় অক্ষরে অঙ্কিত দেখা যায়। ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ জেলা বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ নামে পরিচিত ছিল। ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা জেলার দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে বাকেরগঞ্জ জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮০১ সালে জেলার সদর দপ্তর বাকেরগঞ্জ জেলাকে বরিশালে (গিরদে বন্দর) স্থানান্তরিত করা হয়। ১৮১২ সালে এ জেলায় ১৫টি থানা ছিল।বরিশালের নামকরণ সম্পর্কে অনেক মতভেদ আছে। বড় বড় শালগাছের কারণে (বড়+শাল)= বরিশাল; পর্তুগীজ বেরী ও শেলীর প্রেম কাহিনীর জন্য বরিশাল; বড় বড় লবণের গোলার জন্য বরিশাল ইত্যাদি। গিরদে বন্দরে (গ্রেট বন্দর) ঢাকার নবাবদের বড় বড় লবণের চৌকি ছিল। এ জেলার লবণের বড় বড় চৌকি ও লবণের বড় বড় দানার জন্য ইংরেজ ও পর্তুগীজ বণিকরা এ অঞ্চলকে ‘বরিসল্ট' বলত। এ বরিসল্ট পরিবর্তিত হয়ে বরিশাল হয়েছে বলে অনেকের ধারণা। বরিশালের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করে তদানীন্তন বৃটিশ সরকার ১৯১৩-১৪ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রিপোর্টে ফরিদপুর ও খুলনা জেলাসহ বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। অবশেষে ফরিদপুর ও খুলনা জেলা বাদ দিয়ে ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপ রাজ্য, বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ জেলা নিয়ে বরিশাল বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।সর্বশেষ আদমশুমারি (২০০১) অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের বর্তমান জনসংখ্যা ৮১,১২,৪৩৫ জন এবং প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৩২। এ অঞ্চল ১৮০০ সাল পর্যন্ত হিন্দু অধ্যুষিত ছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসলমানদের আগমন, ধর্মান্তরিত কিছু মুসলমান এবং হিন্দুদের ব্যাপকহারে দেশ ত্যাগের ফলে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য ঘটে। তাছাডা নিম্ন বর্ণের হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত খৃস্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ৫ হাজার জনগোষ্ঠী এ বিভাগে বসবাস করছে। এ অঞ্চলের অধিবাসীগণ এক ঐতিহ্যবাহী মানবগোষ্ঠীর বংশধর। বরিশালের কালেক্টর ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেনরী বেভারিজ ১৮৭৬ সনে তার The District of Bakerganj- It's History and Statistics গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ‘‘বাকেরগঞ্জের অধিবাসী বাঙ্গালী চরিত্রের খাঁটি নিদর্শন'। এছাড়া বরিশালের ইতিহাস গ্রন্থে সিরাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন ‘বাঙ্গালী জাতির আদি বাসস্থান ছিল চন্দ্রদ্বীপ'। এখানকার কুলিনসমাজ ‘বাকলা সমাজ' নামে খ্যাত ছিল। ৭ম শতকে এখানে সামন্ত প্রথা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তালুকদার জমিদারগণ সমাজে প্রথম শ্রেণী হিসেবে বিবেচিত হতেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাঁওতাল, গারো, হাজং, মগ ও চাকমাদের মতো বরিশাল অঞ্চলে ‘চন্দ্রভদ্র' নামে এক জাতির বাস।বাংলার শস্য ভান্ডার বরিশাল একদা ‘এগ্রিকালচারাল ম্যানচেস্টার' হিসেবে পরিচিত ছিল। বরিশালের অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল বাংলার অর্থনীতি। সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এ অঞ্চল প্রাচীনকাল থেকে দিয়ে এসেছে অফুরন্ত ধন-সম্পদ আর সীমাহীন প্রাচুর্য। প্রাচীনকাল থেকে পলি গঠিত উর্বর এ অঞ্চল ছিল কৃষির জন্য উৎকৃষ্ট এবং বসবাসের জন্য উত্তম। কৃষিই ছিল এ দেশের অর্থনীতির মূল উৎস। পর্যটক রালফ ফিস ১৫৮০ সালে বাকলাকে অত্যন্ত সম্পদশালী আখ্যায়িত করে এখানকার প্রচুর চাল, কার্পাস, রেশমবস্ত্র ও সুবৃহৎ ঘরের কথা উল্লেখ করেছেন। এ কারণেই প্রাচীন কাল থেকে এ অঞ্চল বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আকর্ষণ করে আসছে। প্রাচুর্যের দেশ বাকলায় সাগরপথে আরব বণিকগণ বাণিজ্য করতে আসতেন। আজকের মধ্যপ্রাচ্যের ন্যায় সেকালে এ ভূ-খন্ডটি ছিল বিশ্ববাসীর অন্যতম লোভনীয় অঞ্চল। বরিশাল অঞ্চলের জনগণ সত্যিকার অর্থে আরামপ্রিয় ও ভোজন বিলাসী। পারিবারিকভাবে এরা খুবই ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক। তেলে-ঝালে রকমারী সুস্বাদু খাবারের পরে একটা মিষ্টান্ন ছাড়া তাদের তৃপ্তি আসে না। এখানে খেজুরের রস, গুড়, নারিকেল, দুগ্ধছানার তৈরি পিঠার প্রকার শ'-এর কাছাকাছি। কবি ঈশ্বরগুপ্ত বরিশালে বেডাতে এসে লিখেছেন ‘এখানে খাদ্য সুখের কথা বর্ণনা করা যায় না। এখানকার মতো উত্তম চাউল বোধ করি বঙ্গদেশে আর কোথাও নাই।' বরিশাল বিভাগের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হলো পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, বাউফলের কমলারাণীর দিঘী, বরিশালে মাধবপাশার দুর্গাসাগর দিঘী, বরিশালের চাখারের শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক জাদুঘর ও উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান মসজিদ, বরগুনার সোনার চর,Last updated on 2019年04月24日
Minor bug fixes and improvements. Install or update to the newest version to check it out!
বরিশাল জেলা
1.0 by Mehedi Hasan Raju
2019年04月24日